ব্যক্তি মাত্রই কাউকে না কাউকে ভালোবাসবে। সেটা স্কুল-কলেজ কিংবা কর্মক্ষেত্রও হতে পারে। যাহোক, কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীর প্রতি বিশেষ কোন স্নেহ কিংবা ভালোবাসা অনুভব করলে সেটা দোষের নয়। অফিসে সহকর্মীদের সঙ্গে অনেকটা সময় কাটাতে হয়। এতে আপনি ভালো অনুভব করেন। তখন কাজের ওপর চাপটাও আপনার কাছে কম মনে হয়। আর সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ালো তো কর্মক্ষেত্রটা একটা ভালো লাগার জায়গায় পরিণত হয়।
বৃটেনের চাকুরিজীবী নারীদের নিয়ে করা এক গবেষণায় দেখা গেছে, অফিসে তিনজনের একজন সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান। কর্মক্ষেত্রে ভালোবাসার সম্পর্কে জড়ানো অনেক আনন্দ দেয় বটে। কিন্তু এর কারণে অনেক নেতিবোচক প্রভাবও পরতে পারে। কাজেই বিব্রতকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় নিজেকে আগে থেকেই প্রস্তুত রাখুন।
লাইফস্টাইল বিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই ডট কম অবলম্বনে কর্মক্ষেত্রে রোমান্সে অপ্রত্যাশিত ঘটনা এড়ানোর কিছু টিপস-
বিবাহিতদের সঙ্গে সম্পর্ক নয়
কর্মক্ষেত্রে আপনি যদি বিবাহিত কোন মানুষের প্রেমে পরেন তাহলে তা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করুন। কারণ এমন ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্ক আপনার অন্য সহকর্মীরা কখনই সমর্থন করবে না। এতে আপনাদের সম্পর্ক প্রকাশ্যে এলে নানা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরতে পারেন। এমনকি আপনি চাকরিও হারাতে পারেন।
বিচক্ষণতা প্রয়োজনীয়
কোন সহকর্মীর প্রতি আপনি আকর্ষণ বোধ করতেই পারেন। তার মানে এই নয় যে, অন্য সহকর্মীদের আপনি এসব কথা জানাবেন। এ ক্ষেত্রে আপনার বিচক্ষণতা অনেক বেশি জরুরি। সবসময় মাথায় রাখবেন, কর্মক্ষেত্রে সবাই আপনাকে দেখছে। কাজেই তার সঙ্গে সুযোগ বুঝে তবেই আপনার সময় কাটানো উচিত; যাতে অন্যরা সন্দেহ না করে। আপনি যদি খোলামেলাভাবে কারও সঙ্গে আলাপচারিতায় মশগুল হোন তাহলে অন্যরা সহজেই আপনার উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানবে।
সঙ্গী সম্পর্কে নিশ্চিত হোন
আপনি যদি সত্যিই কোন সহকর্মীর প্রেমে পরেন এবং তাকে বিষয়টি জানাতে চান? তাহলে আগে নিশ্চিত হয়ে নিন আপনার প্রতি তারও একই অনুভূতি আছে কিনা? আর এটা জানতে তার সঙ্গে ভালো একটা বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে তুলুন। অনেক বেশি সময় তার সঙ্গে কাটালে আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন আসলে সে কি চায়?
কর্মক্ষেত্রে শারীরিক সম্পর্ক নয়
রোমান্টিক সম্পর্কের একটা অংশই হলো শারীরিক সম্পর্ক। কিন্তু অফিসে এই কাজটি কখনই ঠিক নয়। মাথায় রাখবেন, অফিস কোন মজার জায়গা না। তা না হলে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরতে পারেন এবং আপনার চাকরিও চলে যেতে পারে।
চটকদার সাজ নয়
সাধারণভাবেই একজন মানুষকে দেখতে ভালো লাগে। কিন্তু কাঙ্খিত মানুষের মন পেতে তার দৃষ্টি আপনার দিকে ফেরাতে কখনই চটকদার সাজে আসবেন না। এতে আপনাকে নিয়ে অন্য সহকর্মীরা সমালোচনা করতে পারে। যার ফল পরবর্তী সময়ে খারাপ বৈকি ভালো হয় না।
ব্যক্তিগত ইমেইল এড়িয়ে চলুন
সবসময় মনে রাখবেন, কোম্পানি কেবল অফিসের প্রয়োজনে যেকোনো সময়ে আপনাকে ইমেইলে ঢোকার অনুমতি দিয়েছে। কাজেই এটা ব্যবহার করে ভুল লোককে বার্তা পাঠানো অবশ্যই ঝুঁকির। আপনি যদি আপনার ব্যক্তিগত ইমেলগুলো পাঠানো এড়িয়ে চলেন তাহলে কর্মক্ষেত্রে আপনি শুধু সফল হবেনই, সেইসঙ্গে সম্পর্কের গোপনীয়তাও বজায় রাখতে সফল হবেন।
অফিসের পলিসিগুলো জানুন
যদি আপনি কারও প্রতি আকর্ষণ বোধ করেন তাহলে আগে পলিসিগুলো ভালোভাবে জেনে নিন। কারণ অনেক অফিস আছে যারা সহকর্মীদের মধ্যে সম্পর্কের বিষয়টি অনেক কারণে সমর্থন করে না।
তাড়াতাড়ি বিয়ে করুন
সত্যিই সহকর্মীর প্রতি টান অনুভব করলে তার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলে নিন। তারপর যত দ্রুত সম্ভব বিয়ের কাজটা সেরে নিন। বিয়ে আপনাকে অন্যের সমালোচনা থেকেই শুধু বাঁচাবে না, একই সঙ্গে আপনার চাকরিটাও ধরে রাখবে।
সঙ্গী কেবল আপনাকেই ভালোবাসে
আপনি যাকে পছন্দ করেন তার জীবনে আরও কেউ থাকতে পারে। কাজেই সম্পর্কে জড়ানোর আগে সে বিষয়টা আরও একবার নিশ্চিত হয়ে নিন। এতে ভবিষ্যতে বিপদের হাত থেকে বাঁচবেন।
Leave a Reply